যখন দেশে ছিলাম তখন যদি বুয়া একবেলা না আসতো, সারাটা দিন ই হয়তো না খেয়ে থাকতাম। আর এখন প্রবাসে এসে দেখি বুয়া নামের কোনো কন্সেপ্ট ই নাই। মানে নিজেকেই রান্না করে খেতে হবে। প্রথম দিকে যখন ফ্রাই প্যান টা ধরে যে একটা ডিম ভাজব সেই সাহস ও পেতাম না। পরে যখন শুরু করে দিলাম বাচার তাকিদে, হা বেমালুম ভাল রান্না করে ফেলতেছি, মাঝে মাঝে বিশ্বাস ই হয়না যে এইটা আমার রান্না, আসলে কথায় আছেনা "Survival of the fittest"। আমার মাতো বিশ্বাস করতে চাননা যে আমি রান্না করতে পারি।ছবি তে দেখা যায় আমার রান্নার পুর্ব প্রস্তুতি।
এইটা গেল এক অধ্যায়, এই খানে চুল নামক জিনিসটা কাটাতে এইখান কার ৮/১০ ইউরো লাগে, শুনে ত মাথায় হাত মানে BD এর টাকায় ১০০০ হাজার টাকা।তাই বাঙ্গালীরা চুল কাটার মেশিন ই কিনে ফেলেছে। চুল কাটার মেশিনের দাম ৩৬ ইউরো। কিন্তু চুল কাটা তো আনলিমিটেড। কয়েক জন আবার খুব কুশলীও হয়ে গেছে। আমি মেশিন ধরার কায়দা কানুন ভাল মতোই শিখে ফেলেছি...শুধু একজন খরগোশের পেলেই শুরু করে দিব আমার অনুশীলন, কারন নতুন কারিগর তো অনেকে রাজী হতে চায়না...